• ⭐⭐ মুজিববাদ মুক্তি পাক ⭐ জঙ্গিবাদ-মৌদুদীবাদ নিপাত যাক ⭐⭐ ⭐⭐ Get rid of Mujibism ⭐ Let Militantism and Maududiism die ⭐⭐

বঙ্গবন্ধু-শেখ হাসিনা প্রচারণা পরিষদ কর্তৃক উদযাপিত দিবস সমূহ

★ ৫ই জানুয়ারী(২০১৪)- বঙ্গবন্ধু কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা কর্তৃক স্বাধীন বাংলাদেশে গণতন্ত্রভিত্তিক প্রথম সরকার গঠন দিবস অর্থাৎ “গণতন্ত্র দিবস”।

★ ১০ই জানুয়ারী(১৯৭২)- জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস।

★ ২৪শে জানুয়ারী (১৯৬৯)- গণঅভ্যুত্থান দিবস।

[গণঅভ্যুত্থান দিবসঃ
২৪ জানুয়ারি ঐতিহাসিক গণঅভ্যুত্থান দিবস। বাঙালির দীর্ঘ স্বাধীনতা সংগ্রামের ইতিহাসে ১৯৬৯ সালের গণঅভ্যুত্থান একটি ঐতিহাসিক ঘটনা। সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অবিসংবাদিত নেতৃত্বে সংঘটিত হয় এই গণঅভ্যুত্থান।

মুক্তিকামী নিপীড়িত জনগণের পক্ষে জাতির মুক্তি সনদ খ্যাত বঙ্গবন্ধুর ছয় দফা দাবি এবং পরবর্তীতে ছাত্র সমাজের দেওয়া ১১ দফা কর্মসূচির প্রেক্ষাপটে সংঘটিত হয় এই গণঅভ্যুত্থান।

জাতির পিতার ঘোষিত বাঙালির মুক্তির সনদ ছয় দফাভিত্তিক গণআন্দোলনের আদর্শকে ধারণ করে অগ্রসরমান সংগ্রামের পথপরিক্রমায় ১৯৬৯ সালের ৪ জানুয়ারি গঠিত হয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংগ্রাম পরিষদ। ছাত্রলীগ, ছাত্র ইউনিয়নসহ প্রগতিশীল ছাত্র সংগঠনের নেতারা এই পরিষদ গঠন করে ১১ দফা দাবি ঘোষণা করেন।

এই ১১ দফা দারির মূল ভিত্তি ছিল বঙ্গবন্ধু ঘোষিত ছয় দফা। ছয় দফাভিত্তিক ১১ দফা দাবিতে ছাত্রসমাজের সমস্যাকেন্দ্রিক দাবি-দাওয়ার পাশাপাশি কৃষক ও শ্রমিকদের স্বার্থ সংক্রান্ত দাবিসমূহ অন্তর্ভুক্ত করা হয়। এই আন্দোলনের অন্যতম প্রধান দাবি ছিল আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা প্রত্যাহার এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানসহ রাজবন্দিদের মুক্তি।

ছয় দফা এবং পরবর্তীতে ১১ দফা কর্মসূচির প্রেক্ষাপটে সংঘটিত হয় ১৯৬৯-এর গণঅভ্যুত্থান। ‘৬৯-এর ১৭ জানুয়ারি ছাত্রনেতারা দেশব্যাপী সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ধর্মঘটের ডাক দিলে তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের গভর্নর মোনেম খান ছাত্র আন্দোলন দমনের জন্য ১৪৪ ধারা জারি করেন। সরকারি নিপীড়নের প্রতিবাদে ২০ জানুয়ারি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বটতলায় ছাত্রসভা ও প্রতিবাদ মিছিলের কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়। এ মিছিলে পুলিশের গুলিতে ছাত্রনেতা আমানুল্লাহ মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান (আসাদ) নিহত হলে আন্দোলন আরও তীব্র হয়ে ওঠে।

শহীদ আসাদের আত্মদানের পর ২১, ২২ ও ২৩ জানুয়ারি শোক পালনের মধ্য দিয়ে সর্বস্তরের জনগণের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণে ২৪ জানুয়ারি অভূতপূর্ব গণঅভ্যুত্থান সৃষ্টি হয়।

পাকিস্তানি সামরিক শাসন উৎখাতের লক্ষ্যে ১৯৬৯ সালের ২৪ জানুয়ারি সংগ্রামী জনতা শাসকগোষ্ঠীর দমন-পীড়ন ও সান্ধ্য আইন ভঙ্গ করে মিছিল বের করে। মিছিলে পুলিশের গুলিবর্ষণে এদিন ঢাকায় সচিবালয়ের সামনের রাজপথে নবকুমার ইনস্টিটিউটের নবম শ্রেণির ছাত্র কিশোর মতিউর রহমান ও রুস্তম শহীদ হন। প্রতিবাদে সংগ্রামী জনতা সেদিন সচিবালয়ে আগুন ধরিয়ে দেয়। বিক্ষুব্ধ জনগণ আইয়ুব-মোনেম চক্রের দালাল, মন্ত্রী, এমপিদের বাড়িতে এবং তাদের মুখপত্র হিসাবে পরিচিত তৎকালীন দৈনিক পাকিস্তান ও পাকিস্তান অবজারভার পত্রিকার অফিসে আগুন লাগিয়ে দেয়। ঢাকার পরিস্থিতি সরকারের নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়।

এরপর ১৫ ফেব্রুয়ারি আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলায় অভিযুক্ত সার্জেন্ট জহুরুল হক বন্দি অবস্থায় ঢাকা ক্যান্টনমেন্টে নিহত হলে প্রতিবাদমুখর হয়ে বাংলার জনগণ। ১৮ ফেব্রুয়ারি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. শামসুজ্জোহা নিহত হলে সান্ধ্য আইন উপেক্ষা করে রাজপথে নেমে আসে ছাত্র-জনতা। গণঅভ্যুত্থানের প্রবল চাপে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবসহ আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলার অভিযুক্তগণ এবং নিরাপত্তা আইনে আটক ৩৪ জন নেতাকে মুক্তি দিতে বাধ্য হয় স্বৈরশাসক আইয়ুব খান। ২৩ ফেব্রুয়ারি লাখো জনতার উপস্থিতিতে কেন্দ্রীয় ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের পক্ষ থেকে বাঙালির অবিসংবাদিত নেতা শেখ মুজিবুর রহমানকে ‘বঙ্গবন্ধু’ উপাধিতে ভূষিত করা হয়। ‘৬৯-এর গণঅভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে সামরিক স্বৈরশাসক আইয়ুব খানের পতন ঘটে। সেই থেকে ২৪ জানুয়ারি গণঅভ্যুত্থান দিবস হিসেবে পালিত হয়ে আসছে।]

★ ২১শে ফেব্রুয়ারী(১৯৫২)- আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস।

★ ২২ শে ফেব্রুয়ারী(১৯৬৯)- জাতির জনক শেখ মুজিবুর রহমানকে ” বঙ্গবন্ধু উপাধি ঘোষণা দিবস”।
[১৯৬৯ সালের ২২ ফেব্রুয়ারি লাখো জনতার উপস্থিতিতে কেন্দ্রীয় ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের পক্ষ থেকে বাঙালির অবিসংবাদিত নেতা শেখ মুজিবুর রহমানকে ‘বঙ্গবন্ধু’ উপাধিতে ভূষিত করা হয়।]

★ ৭ই মার্চ (১৯৭১)- জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর ঐতিহাসিক ভাষণ দিবস।

★ ১৭ই মার্চ(১৯২০)-জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর শুভ জন্মদিন।

★ ২৬ মার্চ(১৯৭১)- মহান স্বাধীনতা দিবস।

★ ১৭ই মে(১৯৮১)- বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস।

★ ১৫ই আগোস্ট(১৯৭৫)-শোকাবহ জাতীয় শোক দিবস(জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর পবিত্র শাহাদাৎ বার্ষিকী)।

★ ২১শে আগোস্ট(২০০৪)-জাতীয় শোক দিবস।(বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনাকে হত্যার চেষ্টায় ২৪ জন আওয়ামী নেতা- কর্মী শাহাদাৎ বরণ করেন)।

★ ১৫ই সেপ্টেম্বর (২০১৭)-বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনাকে মাদার অব হিউম্যানিটি(মানবতার জননী) ঘোষণা দিবস।

[ শেখ হাসিনাকে ‘মাদার অব হিউম্যানিটি’ বলল ব্রিটিশ মিডিয়াঃ
মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে নির্যাতনের শিকার রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীকে আশ্রয় দেয়ায় ইতোমধ্যে বিশ্বের কাছে প্রশংসিত হয়েছে বাংলাদেশ। এবার ব্রিটিশ মিডিয়া প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ‘মাদার অব হিউম্যানিটি’(মানবতার জননী) বলে আখ্যায়িত করেছে। কক্সবাজারের উখিয়া উপজেলার কুতুপালং রোহিঙ্গা শরণার্থী ক্যাম্প পরিদর্শন করেন প্রধানমন্ত্রী। এ নিয়ে সংবাদ প্রকাশ করেছে ব্রিটেনভিত্তিক গণমাধ্যম চ্যানেল ফোর। (খবর ওয়েবসাইটের) চ্যানেলটির এশিয়া প্রতিনিধি জনাথান মিলার তার প্রতিবেদনে তুলে ধরেন ক্যাম্পে থাকা রোহিঙ্গাদের মানবেতর জীবনের কিছু অংশ। ওই প্রতিবেদনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ‘মাদার অব হিউম্যানিটি’ বলে ভূষিত করা হয়। ক্যাম্প পরিদর্শনের পর সেখানে এক সংক্ষিপ্ত সমাবেশে বক্তব্য দেন শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, রোহিঙ্গাদের মানবিক কারণে আশ্রয় দেয়া হয়েছে। মিয়ানমার সরকারকে অবশ্যই তাদের ফেরত নিতে হবে। আশ্রয়ের এই সাময়িক সময়ে বাংলাদেশ সরকার সাধ্যমতো শরণার্থীদের সহায়তা করবে। তিনি মিয়ানমার সরকারকে রোহিঙ্গাদের ওপর অত্যাচার-নির্যাতন বন্ধেরও আহ্বান জানান।]

★ ২৮শে সেপ্টেম্বর(১৯৪৭)-বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার শুভ জন্মদিন।

★২৮ শে সেপ্টেম্বর (২০১৬): বঙ্গবন্ধু-শেখ হাসিনা প্রচারণা পরিষদ (বি এস এইচ পিপি) এর প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী।

★ ২৮ শে অক্টোবর(২০১৩)- বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে স্বেচ্ছাসবী সংগঠন আইন ও অধিকার বাস্তবায়ন ফোরাম কর্তৃক ঘোষিত “জঙ্গিবাদ-মৌদুদীবাদ মুক্ত দিবস”।

★ ১৬ই ডিসেম্বর(১৯৭১)- মহান বিজয় দিবস।

জয় বাংলা জয় বঙ্গবন্ধু জয়তু শেখ হাসিনা।